শিবিরের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে শিবির ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশকারিরা নিজেদের কর্মীকে হত্যা করেছে, হত্যার আগে ভেবেছিল শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে একশন নিবে না, কিন্তু একশন নেয়াতে তাদের কৌশল ভেস্তে গেছে। ফলে শিবির তাদের অনুপ্রবেশকারিদের হারিয়েছে, অনলাইনের কর্মী আব্রারকেও হারিয়েছে। মানে দুদিক দিয়েই *গা মারা খেয়েছে।
বিএনপি জামাতি ছাগু ফাগুরা সবসময় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনকে নাস্তিকতা হিসেবে প্রচার করতো। কিন্তু আব্রার হত্যা তাদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে বাধ্য করেছে। এতে মোমবাতি শিল্প মার্কেট পেয়েছে। এই শিল্প টিকে থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, এতদিন বিদ্যুতের কারনে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। কোন একটা উছিলায় হারিকেন, কুপি শিল্প টিকিয়ে রাখা যায় কিনা সেটাও চিন্তা করা যেতে পারে।
তারা পথনাটককেও নাস্তিকতা মনে করতো। এবার পথ নাটক করে সেটাও মেনে নিয়েছে।
তারা ভিন্ন মত প্রকাশে বিশ্বাসি নয়। আব্রার ভিন্ন মত প্রকাশের আন্দোলন ছাগুদের মাঝেও ছড়িয়ে দিয়েছে। ফলে তসলিমা নাসরিন, দাউদ হায়দার সহ সকল নির্বাসিত লেখকদের দেশে ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখানে তারা(ছাগুরা) যদি মুনাফেকি করে ইউ-টার্ণ না নেয় তাহলে ফিরে আসতে পারে খুব শিঘ্রই। তবে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন যেহেতু মেনে নিয়েছে তাই সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
এসব কিছুই তারা মন থেকে করুক আর না করুক তারা যে মাইনকা চিপায় আছে এসব দেখেই বুঝা। যায়। বামাতিরাও মাইনকা চিপায় পইড়্যা গেছিল, এবারের মত তাদের বাঁচাইয়া দিছে শেখ হাসিনা, নইলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হইলে এদের যাওয়ার জায়গা ছিল না কোথাও। এভাবেই আস্তে আস্তে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে।
অনলাইনে আমার কিঞ্চিত অভিজ্ঞতা হলো। বামাতি, জামাতি, বিএনপির ছাগুরা ছাত্রলীগকে ঘৃণা করে কিন্তু তাদের যদি জিজ্ঞেস করি তাদের প্রিয় দল কোনটা?? তারা উত্তর দিতে পারে না। কিন্তু ছাত্রলীগ যারা করে তারা গর্ব করে বলে আমি ছাত্রলীগ করি। এটাই ছাত্রলীগ, আওয়ামি লীগের সফলতা।
আর দির্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার অনেক সুফল আছে। যেমন তুরস্কে কামাল আতাতুর্ক ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানে যুক্ত করেছেন এবং দির্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেছেন, কিন্তু এরদোগান এতদিন নিরংকুশভাবে ক্ষমতায় থেকেও ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করতে পারে নি। তেমনি ভারতে কংগ্রেস যে ধর্ম নিরপেক্ষতার বীজ বপন করে গেছে তা সাম্প্রদায়িক মোদি দির্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও বাতিল করতে পারেনি। এই বাংলাদেশেও সাম্প্রদায়িক শক্তি দির্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারনে এতদিন ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামি লীগ রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করতে পারেনি, যদিও ধর্ম নিরপেক্ষতা যুক্ত করেছে। রাষ্ট্রের চরিত্রও বদলাচ্ছে, চরিত্র যে বদলাচ্ছে তার প্রমান আব্রার হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচী। তাই আওয়ামি লীগ দির্ঘদিন ক্ষমতায় থাকুক যেকোন মুল্যে।