করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভিডিও আলাপের পর এ কথা বলেন তিনি।
করোনা মহামারি প্রসঙ্গ ছাড়াও চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে গণমাধ্যম যোগাযোগ এবং সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেন তাঁরা। এ সময় চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলর লিউ ঝেনহুয়াও উপস্থিত ছিলেন।
চীনা দূতাবাসের এক বার্তায় আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের প্রতি চীনের সহায়তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তার দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করেছে।
বাংলাদেশকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। চীন ও বাংলাদেশ মহামারি মোকাবিলা এবং গণমাধ্যম নিয়ে প্রকল্প নির্মাণে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারকরণ অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন এ বছরের শুরুর দিকে যখন চীনে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল, তখন একটি ভালো প্রতিবেশী এবং অংশীদার হিসেবে চীনের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিশেষ চিঠির মাধ্যমে চীনের প্রতি সমবেদনা ও সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন।
মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উদ্দীপনা এবং জনগণের জীবিকা নিশ্চিতকরণে সহায়তার জন্য চীন বেশ কয়েকটি সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো যথেষ্ট সক্রিয় ও ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে।
হাছান মাহমুদের সঙ্গে আলাপকালে লি জিমিং বলেছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতা আরো জোরদার হবে। দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আস্থা আরও গভীর হবে এবং দুই দেশের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিনিময় ও সহযোগিতা আরো গভীর পর্যায়ে নিয়ে যাবে।