ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
কোনো অপশক্তিই আমাদেরকে ধ্বংস করতে পারবে না। পুলিশ দিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আমরা জেগে উঠবো, কারণ আমরা মানুষের পক্ষে, জনগণের পক্ষে, জনগণের আর্থিক উন্নয়নের পক্ষে আছি। তাই যতই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হোক- এই জাতীয়তাবাদী দলকে ধ্বংস করা যাবে না।
জাতীয় মৎস সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষে খিলগাঁওয়ে বালু নদীর মোহনায় উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণের পর তিনি এসব কথা বলেন।
করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়া হাসপাতালগুলোকে সরকারই স্বীকৃতি দিয়েছিল। এখন সনদ জালিয়াতিতে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্টরা একে অপরের ওপর দোষারোপ করছে। কেউ দায় নিচ্ছে না। যারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভোট করে ক্ষমতায় থাকে তারা করোনার সনদ জালিয়াতির সার্টিফিকেট দেবে, মানুষের জীবন বাঁচানোর কোনো উদ্যোগ নেবে না এটাই তো স্বাভাবিক।
এই করোনার সময়ে সরকারের ত্রাণ যেগুলো জনগণের টাকায় কেনা সেগুলো পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ঘরের ভেতরে, খাটের নিচে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, মন্ত্রী-এমপিরা যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, মানুষের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ত্রাণের মালামাল আত্মসাতের জন্য সুযোগ গ্রহণ করেছে। নিজেদের পকেট ভারি করেছে।
অন্যদিকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল আরো বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন প্রত্যেকটি মানুষের উন্নয়নের জন্য, মানুষের পাশে থাকার জন্য উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। মানুষের স্বাবলম্বী হওয়ার কর্মসূচিগুলো যেমন করছে তেমনই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য কাজ করছে।
জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে আছি। তারা মানুষের কল্যাণের জন্য, এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন, এখনও করে যাচ্ছেন।
জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, এই যে অর্থনৈতি উন্নয়ন-সমৃদ্ধি এগুলো যারা পছন্দ করেন না তারাই ১৯৮১ সালের ৩০ মে গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তার যে উন্নয়নমূলক কাজ চক্রান্তকারীরা এগুলো নানাভাবে ব্যাহত করার চেষ্টা করেন।
মৎসজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, হাবিবুল হক হাবিব, কবির উদ্দিন মাস্টার, জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোর্শেদ আলম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য আমির হোসেন, হেমায়েত উদ্দিন হিমু, শাহিন উদ্দিন স্বপন চৌধুরী, তানভীর, রজব আলী, সুমন মুন্সি, কে এম সোহেল, লিয়াকত, স্বপন, তবারক ফজলে কবির সোহেল ও বাকি বিল্লাহ প্রমুখ।