দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করব।
গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে দুই বছরের চুক্তিতে ছিলেন আবুল কালাম। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল তার সেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
রবিবার দায়িত্ব নেয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর খুরশীদ আলম এ কথা বলেন।
গত ২৩ জুলাই আবুল কালাম আজাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়। ওইদিনই নতুন ডিজি নিয়োগ পান আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ডিজি। ২টার দিকে তিনি মন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নানের কক্ষে যান। সেখান থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে বেরিয়ে আবার মন্ত্রীর কক্ষে আসেন তিনি। পরে ৩টার দিকে মন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মহাপরিচালক।
আমি আজকে জয়েন করেছি, সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য এসেছিলাম। মন্ত্রী মহোদয় ও দুই সচিব মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমাকে কিছু দিকনির্দেশনা ওনারা দিয়েছেন। আরও দেবেন। আমরা আসলে মিটিংটা শেষ করতে পারিনি। যেহেতু মন্ত্রী মহোদয়ের তাড়া আছে, উনি যাবেন। আমরা বেরিয়ে এসেছি।
আমি সম্পূর্ণ ব্যাপারটা বোঝার পরে আপনাদের অফিসিয়ালি ডাকব, আপনারা যা খুশি আমাকে জিজ্ঞাসা করার করবেন। এই মুহূর্তে আমি আসলে এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
আমরা অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করব। আপনাদের কাছে অনুরোধ, কারণ মিডিয়া আমাদের সাহায্য করলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আপনারা আমাদের ভালো কাজগুলোর মূল্যায়ন করেন, আর খারাপ কাজ হলে সেটার সমালোচনা করবেন এই তো কথা।’
এরপর সাংবাদিকরা আরও প্রশ্ন করলেও জবাব দেননি স্বাস্থ্য অধিদফতরে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ডিজি।