করোনা নেগেটিভ কিন্তু অনলাইনে পজিটিভ পাওয়ায় সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে লন্ডন যেতে দেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।
শনিবার মহাখালী থেকে নেগেটিভ রিপোর্টের হার্ডকপি নিয়ে আসেন তাঁর বিশেষ সহকারী। কিন্তু ইমিগ্রেশন যখন অনলাইনে চেক করে তখন সেটি পজিটিভ দেখায়। তার রিপোর্ট অনলাইনে এবং হার্ডকপিতে কীভাবে ভিন্ন হলো তা নিয়ে তিনি সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করবেন।
বিমানবন্দরে দেখানো নেগেটিভ রিপোর্টটিতে সাক্ষর করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারাল সেন্টারের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) বায়েজিদ বিন মনির। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অফিস সময় শেষে তিনি ঘটনা শুনেছেন। কালকে সকালের আগে তিনি কিছুই জানাতে পারবেন না।
আমার মেয়ে লন্ডনে পড়ালেখা করে। ও ফেব্রুয়ারিতে এসে করোনার কারণে যেতে পারেনি। এখন লন্ডনে যাবে, বিমান চালু হয়েছে। যেহেতু করোনা রিপোর্ট লাগে সেহেতু মহাখালীতে গিয়ে স্যাম্পল দিয়ে আসে। গতকাল ৪টার পরে অনলাইনে জানানো হয় তার রিপোর্ট নেগেটিভ। পরে আমার এপিএসকে হার্ডকপিটা আনতে বলি। ডাক্তার বায়জিদ বিন মনির সাক্ষরিত নেগেটিভ রিপোর্টটি সে নিয়ে আসে।
সকালে আমি নিজে মেয়েকে নিয়ে গেছি বিমানবন্দরে। বেলা ১১টার দিকে ইমিগ্রেশনে গেছে। চেক করতে গিয়ে অনলাইনে দেখে করোনা পজিটিভ দেখায়। আমি আকাশ থেকে পড়েছি। পরে আমি নিজে বলেছি যাওয়া অফ করে দাও। এভাবে যাওয়া যাবে না। কারণ, যদি যায়ও লন্ডন থেকে ফিরিয়ে দেবে। আমি ফেরত আসলাম।
বিমানবন্দর জানায়, রবিবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০০১ ফ্লাইটে লন্ডন যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসেন ঐশী। শিডিউল ফ্লাইটটি রবিবার দুপুর ১২টায় ঐশীকে ছাড়াই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের জানানো হয় একজন ভিআইপি গেট ব্যবহার করে এসেছেন, তিনি করোনা পজিটিভ। পরে আমরাও অনলাইনে চেক করে নিশ্চিত হই তিনি পজিটিভ। এ কারণে আর তাকে ফ্লাইটে যেতে দেওয়া হয়নি।
















