ভারত অভিন্ন নদীর সব বাঁধ ও ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
রবিবার আগের দিনের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে দলটির নীতিনির্ধারকরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত শনিবার বিকাল ৫টায় বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় দেশে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ভারত অভিন্ন নদীগুলোর সব বাঁধ ও ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দা, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অববাহিকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৪টি নদী প্লাবিত হয়েছে এবং সব কটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থায়ী কমিটির ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলে রংপুর বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের প্রায় সবকটি জেলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ জেলা ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত হয়েছে এবং অধিকাংশ নদীতেই পানি বাড়ছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষ অসহায় অবস্থায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে কালাতিপাত করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি অভিযোগ করে, এ ব্যাপারে সরকার একেবারেই উদাসীন। এখন পর্যন্ত কোনো উদ্ধার বা ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা নেই। করোনাভাইরাসের সঙ্গে এই বন্যা জনজীবনে ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে।
সভায় বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আহ্বায়ক করে একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়। অবিলম্বে তিনি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করবেন। সভায় দলের এবং অঙ্গ সংগঠন সমূহের সব পর্যায়ের নেতা ও কর্মীকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।