ক্লান্ত লাগলেই করোনা ভেবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ এর মূলে যদি করোনার হাত থাকে, অন্য কিছু না কিছু উপসর্গ সঙ্গে থাকবেই। হালকা জ্বর, হতে পারে ৯৯-১০০ ডিগ্রির মধ্যে, বা একটু গলাব্যথা বা শুকনো কাশি বা অন্য কিছু। এ সব কিছুই নেই, শুধু দিনের পর দিন ক্লান্তি, তা হলে করোনা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ভাল করে বিশ্রাম নিন। পুষ্টিকর খাবার খান ও নিয়ম মেনে চলুন, ক্লান্তি কমে যাবে। আর তাতেও না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আজ ২৭ জুলাই সোমবার দুপুর আড়াইটায় দেশে রাজধানী ঢাকার মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেশের সর্বশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮১ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ৫৪৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৮৫৯ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ২৪ হাজার ৪১৭ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৭৭২ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো দুই হাজার ২ হাজার ৯৬৫ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৮০১ জন মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৩ জন।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১.৫৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫.৫৬ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ২৬ নারী ১১ জন।
এদিকে ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী আজ সোমবার দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত, বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৭ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৪ লাখ ৩১ হাজার ৭০৫ জন। তবে সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৫৬ হাজার ৩৪০ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫৭ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন আর আশংকা জনক অবস্থায় আছেন ৬৬ হাজার ২৪৩ জন।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।