গচীনে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশের শরীরে নতুন করে রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই শতাধিক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত। খবর এসেছে জাপান, ইরান থেকেও। এমনকি, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। ফলে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের কপালে যেমন চিন্তার ভাঁজ, অস্বস্তি ও আতঙ্কে সাধারণ মানুষও। একাধিকবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও কেন এত তড়িঘড়ি ফের রোগে পড়া!বিশেষজ্ঞগণের মতে,আসলে এই রোগের কোনও ওষুধ নেই বলেই সমস্যা হচ্ছে। অ্যান্টিবডির সঙ্গে লড়াইয়ে ভাইরাসের মাত্রা কমে, কিন্তু সব সময় নির্মূল হয় না।এদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় কেড়ে নিয়েছে আরও জনের প্রাণ।
আজ ২৯ জুলাই বুধবার দুপুর আড়াইটায় দেশে রাজধানী ঢাকার মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেশের সর্বশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮২ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ২৫৩ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ১২৭ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৫১ হাজার ২৫৮ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৯ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩৫ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ২ হাজার ৮৭৫ জন মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯২ জন।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ১১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ৩০ নারী ৫ জন।
এদিকে ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী আজ বুধবার দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত, বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৫ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮ হাজার ৬৯৮ জন। তবে সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৪২ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ৯১ জন আর আশংকা জনক অবস্থায় আছেন ৬৬ হাজার ৪৪১ জন।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।