প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিলেও সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি সড়ক নির্মাণ কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন অনেক হয়েছে তবুও এখনও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) দেশের পতাকাবাহী গণপরিবহন, সরকার এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে না আসলে এ প্রতিষ্ঠান টেকানো কঠিন হবে, অনিয়ম বন্ধ করতে হবে এবং সতর্ক বা সংশোধন না হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বিআরটিএকেও এ বিষয়ে সতর্ক করেন।
সেতুমন্ত্রী বুধবার চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ, টানেল প্রকল্পের অগ্রগতি ও ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার সময় এসব কথা বলেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে নিজ নিজ স্বার্থে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জাইকার অর্থায়নের নীতিগত অনুমোদন পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের মেট্রোরেল স্থাপনের লক্ষে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি অর্থায়নের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ইআরডি’র মাধ্যমে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কর্ণফুলী টানেলের দুটো টিউবের একটির খনন কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে
কক্সবাজার থেকে ইনানী পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ ৩২ ফুট প্রশস্তকরণ প্রকল্পের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে আছে, এবং সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মানবিক সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে আছে।
ওবায়দুল কাদের সড়কের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং মানুষকে স্বস্তি দিতে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সাথে সাথে মেরামত করার আহবান জানান।