কোভিড নেগেটিভ সনদ না পাওয়া এবং যাত্রার আগ মুহূর্তে রিপোর্ট পজিটিভ আসায় অনেক বিদেশগামীর ফ্লাইট মিস হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভোগান্তির পাশাপাশি ভারী হচ্ছে আর্থিক ক্ষতির পাল্লা। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের দায় না থাকা সত্ত্বেও একই টিকিটে আবার ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে না এয়ারলাইন্সগুলো। বাংলাদেশ বিমান কিছুটা ছাড় দিলেও অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর ক্ষেত্রে নতুন করে টিকিট কাটতে হচ্ছে।
করোনার কারণে দীর্ঘসময় আটকে পড়া মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের অনেকেরই শেষ হতে চলেছে ভিসার মেয়াদ। যেতে দেরি হলে কারো কারো চাকরি খোয়ানোর শঙ্কা রয়েছে। অধিকাংশই ফিরতি টিকিট কেটে আসলেও এয়ারলাইন্সগুলো আসন পূর্ণ দেখিয়ে টিকিট রি-ইস্যু না করায় মরিয়া প্রবাসীদের চড়া দামে নতুন করে টিকিট কিনতে হচ্ছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা বেশি বিপদে পড়েছেন।
আমার বন্ধু ৬০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটার পরে ফ্লাইটের আগের দিন করোনার রিপোর্ট পেয়েছে- পজেটিভ, ট্রাভেলস থেকে বলা হয়েছে এই টিকিটের দায়ভার তারা নেবে না।
যাত্রীদের টিকিট রি-ইস্যু করা হচ্ছে দাবি করে বাংলাদেশ বিমান বলছে, অনেক যাত্রীর কোভিড পজিটিভ হওয়ার কারণে আসন ফাঁকা থাকায় লোকসান হচ্ছে ।
গতকাল আমাদের লন্ডন ফ্লাইট গেছে, যেখানে ২৬০ জন নিতে পারতাম আমাদের সেখানে গিয়েছেন ১৬০ জন।
সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলছেন, টিকিটের ক্যাটাগরির ওপর টাকা ফেরত পাওয়া বা রি-ইস্যু করা নির্ভর করে। যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়ে বিমান সংস্থাগুলোকে অবহিত করা হয়েছে।
রি-ইস্যুটা তাদের পছন্দমতো হচ্ছে না এটা তাদের জন্য দুর্ভোগ। টিকিটের কিছু প্রটোকল আছে, কেউ যদি খুব সস্তা টিকিট কাটে সেক্ষেত্রে টিকিট চেঞ্জ করতে পারে না। গত ২৩ জুলাই থেকে সব বিদেশগামীর জন্য কোভিড সনদ বাধ্যতামূলক করে সরকার।