একবার জেনে নেওয়া যাক ঠিক কতটা শক্তিমান এই যু্দ্ধবিমান। শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে এরইমধ্যে অপরিহার্য হয়ে উঠতে চলেছে এই বিমান।
ভারতের কাছে ছিল লং রেঞ্জ মিসাইল স্কাল্প যা ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত হানা দিতে পারে। কিন্তু রাফালের শক্তি এতটাই শত্রু শিবিরে ৬০০ কিলোমিটার ঢুকে আঘাত হানার সক্ষমতা আছে তার।
রেঞ্জ ১৫০ কিলোমিটারের বেশি। পাকিস্তানের হাতে যেসব যুদ্ধবিমান আছে তার বিভিআর বড়জোড় ৫০ কিলোমিটার।
এয়ার টু এয়ার মিসাইল রাফাল জেটগুলোর অন্যতম ইউএসপি। এর ফলে ১৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেট বিদ্ধ করতে পারবে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এছাড়াও রাফালে থাকে এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল।
১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ৪৫টি নিশানায় এক সঙ্গে আঘাত হানতে পারে রাফাল।
রাফালের এয়ারটু এযার এবং এয়ার টু সারফেস ফায়ারপাওয়ার ৩৭০০ কিলোমিটার।
এই মিসাইল অন্তত ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম।
পাকিস্তান এবং চীনের বিমানবাহিনী যে জেএফ ১৭ এবং জে ২০ যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করছে, সেগুলো দিনে এবং রাতে উড়তে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই চালাতে সক্ষম৷
জেএফ ১৭ ফোর্থ জেনারেশন এবং জে ২০ ফিফথ জেনারেশন এয়ারক্রাফট৷ অন্যদিকে রাফালকে বলা হচ্ছে ৪.৫ জেনারেশন এয়ারক্রাফট৷ রাফালের নির্মাণকারী সংস্থা দাসল্ট-এর দাবি, এগুলো omnirole এয়ারক্রাফট৷ অর্থাৎ প্রত্যেকটি মিশনে এই যুদ্ধবিমানকে যে লক্ষ্যে কাজে লাগানো হয়, প্রয়োজনে রাফাল তার থেকেও অতিরিক্ত করার ক্ষমতা রাখে৷
রাফাল যে ধরনের মিসাইল এবং অস্ত্রশস্ত্র বহনে সক্ষম, তা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা এবং সর্বাধুনিক৷ রাফাল যে ধরনের METEOR এয়ার টু এয়ার লং রেঞ্জ মিসাইল ব্যবহার করে, তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আকাশে যুদ্ধের গতি প্রকৃতি আমূল বদলে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।