চলমান করোনা সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অজুহাতে নানা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বিএনপি। করোনায় কর্মহীন মানুষদের সহায়তায় সরকার সহযোগিতা করলেও দেশে কৃত্রিম খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটের নামে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন বিএনপির নেতারা। দেশে খাদ্য সংকট না থাকলেও তারা দেশে আগাম দুর্ভিক্ষের বার্তা দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। দেশের মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই কৌশলে বিএনপির তরফ থেকে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, করোনাকালে দেশের কর্মহীন মানুষকে খাবার সরবরাহ ও চিকিৎসা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। অথচ এই সংকটে বিএনপির কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। খুব স্বল্প পরিসরে দলটি নিজেদের কর্মীদের সহায়তা করলেও তা শুধু ফটোসেশনের জন্য বলে অভিযোগ রয়েছে।
অথচ সহায়তাকালেও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের মতো নেতারা দেশে খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ নিয়ে নানা মনগড়া তথ্য প্রচার করছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতেই বিএনপি সংঘবদ্ধভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। দেশে দুর্ভিক্ষ এলেই যেন বিএনপির লাভ হয়। জনগণকে সরকারের প্রতিপক্ষ বানাতে তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে। খাদ্য সংকটের নামে বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা ছড়াতেই এই কৌশল অবলম্বন করেছে দলটির নেতারা।
বিএনপি নেতাদের গুজবের বিষয়ে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, দেশে খাদ্য সংকট নেই। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। এছাড়া আগামীতে ৫ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। অথচ বিএনপি নেতারা দেশের এমন পরিস্থিতিতেও খাদ্য সংকটের নামে মিথ্যাচার করছে। দেশে দুর্ভিক্ষ হলে যেন তারা খুশি হন। জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বিএনপি। এগুলো নোংরা রাজনীতি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ তো ইদানিং লাগামহীন কথা বলছেন। তিনি দেশে নাকি দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। তার মতো মিথ্যাবাদী আমি দেখিনি। সংকটে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি অচিরেই এসব গুজবকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।