স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যথার্থ উদ্যোগ নেওয়ার ফলেই দেশের কভিড হাসপাতালগুলোতে এখন ৬০ ভাগ শয্যা খালি পড়ে আছে।
কভিড ডেডিকেটেড অর্ধেক আইসিইউ বেডে কোনো রোগী নেই। শুরুতে পরিস্থিতি বুঝতে কিছুটা সময় লাগলেও এখন দেশের চিকিৎসা খাত কভিড-১৯ চিকিৎসায় সঠিক অবস্থানেই রয়েছে।
সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা কম থাকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকার দ্রুত কিছু উদ্যোগ নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমদিকে কেবলমাত্র ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু ছিল। এখন জেলা শহরেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করাসহ প্রায় ৭০টি হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের টেলি মেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত চিকিৎসক অনলাইনে কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন কিছু কার্যকরী চিকিৎসা সেবা কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, দেশে ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে।
পরীক্ষা করাতে মানুষের অনীহা, বন্যা দুর্যোগ এবং যত্রতত্র লক্ষণবিহীন লোকদের নমুনা পরীক্ষা না করানোর ফলে এ হার কিছুটা কমে থাকতে পারে। শিগগির ৩০ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে বলেও সভায় তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর-এর সভাপতিত্বে সভায় ৫টি দপ্তরের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরকারী দপ্তরগুলো হচ্ছে- পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নিপোর্ট, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইডলাইন অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার জন্য দপ্তর প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান।