বিনামূল্যে কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করতে না পেরে মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা।
ক্ষতি কমাতে গিয়ে কাঁচা চামড়ায় লবণ না লাগানোর কারণে কোন কোন চামড়ার মজুদে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। একটি মাদরাসার জন্য চামড়া সংগ্রহকারী ক্বারী মাওলানা আবুল কালাম বলেন, এবার মৌসুমী ক্রেতা না থাকায় ঈদের দিন দুপুর থেকে দিনভর ঘুরে ঘুরে বিনামূল্যে বেশ কিছু চামড়া সংগ্রহ করেছি। এসব চামড়া রিকশায় পরিবহন করে একটি পয়েন্টে স্তূপ করা হয়েছে।
শনি ও রবিবার কোন চামড়া ক্রেতা না আসায় চামড়া নিয়ে তাকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এখন এসব চামড়ার স্থানীয় পরিবহন ব্যয় তোলারও কোন সম্ভাবনা দেখছি না।
চামড়ার বিষয় নিয়ে সহযোগিতা চাইতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইল ফোনে বার কতক কল দিয়েও কোন সাড়া পাননি।
নূরানী হেফজখানা ও এতিমখানাসহ সাহায্য নির্ভর প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই। তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে পড়ে থাকা চামড়া পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে।
ভালো দাম পাওয়ার আশায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য তারা কিছু চামড়ায় লবণ মাখিয়ে রেখেছেন। কিন্তু কোন ক্রেতা না আসায় এখন লবণের দামও গচ্চা দিতে হচ্ছে।
আর্মী পাড়ার বাসিন্দা এডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম, অনিক ইসলাম, মোহাম্মদ মোস্তফাসহ সবাই গত বছরও কোরবাণীর পশুর চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। এবারও তাদের চামড়া একটি এতিমখানাকে ডেকে এনে বিনামূল্যে দিতে হয়েছে।
পানির দরে হলেও তিনি কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে পেরেছেন। তিনি জানান, সকালের দিকে অনেক পীড়াপীড়ি করে মওসুমী এক ব্যবসায়ী একটি বড় মহিষ এবং বড় ষাঁড়ের চামড়া প্রতিটি ১০০ টাকা করে মোট ২০০ টাকায় কিনে নিয়েছেন।