শরীয়তপুর শহরে আধুনিক সুবিধা সংবলিত সরকালী খালের উপর নির্মিত জেলা পরিষদ টাওয়ার নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের গাফলতিতে কাজে ধীরগতি ও জেলা পরিষদের উদাসীনতার কারণে ৮ বছরেও নির্মান কাজ শেষ হয়নি। ফলে টাওয়ারের বরাদ্ধকৃত দোকান মালিক সহ জনগণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ বলছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পরোক্ষভাবে টাওয়ারের বেশিরভাগ দোকান বরাদ্ধ নিয়ে সেলামীর টাকা পরিশোধ করছে না। এ কারণে পরিষদ ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করতে পারছে না।
জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্ধের জন্য সেলামীর টাকা জমা দেয়া ব্যবসায়ী সোলায়মান সিকদার বলেন, আমরা আত্নীয় স্বজন মিলে নির্মাণাধীন টাওয়ারের ৭/৮টি দোকান নিয়ে সেলামীর কিয়দাংশ জমা করেছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নুসরাত হোসেন লিটন তালবাহানা করে কাজ নিয়ে ফেলে রেখে। এতে করে আমরা যারা দোকান বরাদ্দেও টাকা জমা দিয়েছি। কাজ শেষ করছেনা। টাকা ও ফেরত দিচ্ছেনা।
এ বাপারে কিংডম বিল্ডার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নুসরাত হোসেন লিটন দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর হোসেন বলেন, জেলা পরিষদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিংডম টাওয়ার এর অংগ প্রতিষ্ঠান নাসির ট্রেডার্স টাওয়ারের সব দোকান ভাড়া নিয়েছে। সে সেলামীর টাকা পরিশোধ করছেনা। তাই জেলা পরিষদ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের পাওয়ানা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ অজুহাতে কাজ বন্ধ রয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী সুখদেব বিশ্বাস বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা শিকদার বলেন, এ টাওয়ারটি নির্মাণ কাজ আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগেই কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এ ভবনের কাজ আংশিক করার পর ফেলে রেখেছে। বিষয়ে আমি আর কিছু জানিনা।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, জেলা পরিষদের টাওয়ারটি সরকারী খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এ তালিকা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট দেয়া হয়েছে। তালিকা অনুমোদন পেলে টাওয়ারের যে অংশ খালের উপর সেটা ভেঙ্গে ফেলা হবে।