ভারতের ‘দখলে থাকা’ ভূখণ্ড নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নেপাল। এতে ‘কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরাকে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর সেই সংশোধিত মানচিত্র পাস হয় দেশটির পার্লামেন্টে। এখন সেটি জাতিসংঘ ও গুগল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেপি শর্মা ওলির সরকার। শনিবার নেপালি সংবাদমাধ্যমের খবরে দেশটির এই পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এসেছে।
নেপাল সরকারের ভূমি, সমবায় ও দারিদ্র দূরকরণবিষয়ক মন্ত্রী পদ্ম আরায়ল জানান, কালাপানি-লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাসহ নেপালের সংশোধিত ম্যাপ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরা হবে। ইংরেজি ভাষায় ৪ হাজার প্রতিলিপি ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে জাতীয় স্তরে ওই ম্যাপের প্রায় ২৫ হাজার প্রতিলিপি ছাপিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিসে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। বাজারে নেপালি মুদ্রায় ৫০রুপিতে বিক্রি হচ্ছে নয়া ম্যাপ।
মানচিত্র সংশোধন করার প্রস্তাব নেপালের সংসদে পাস হয়। এই মানচিত্রে বর্তমানে ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিনটি অংশ- কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নেপালের ২৭৫ আসনবিশিষ্ট সংসদের ২৫৮টি ভোটে ওই বিল পাস হয়।
বিতর্কের কেন্দ্রে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা; এই তিনটি অংশই রয়েছে নেপালের উত্তর-পশ্চিমে। এর দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন এবং উত্তরে চীনের তিব্বত। এই ভূখণ্ডটি ভারত, নেপাল ও চীনের একটি সংযোগস্থল হওয়ায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।