আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট খাতের যুগোপযোগী সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এরই মধ্যে পাটকাঠি থেকে চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, পাট পাতার পানীয়, জুট জিও-টেক্সটাইল এবং পলিথিনের বিকল্প ‘সোনালি ব্যাগ’ উৎপাদনের মাধ্যমে পাট খাতে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করা সম্ভব হয়েছে ।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনার সময় বস্ত্র ও পাট সচিব কথা বলেন। এদিন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সঙ্গে উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন।
পলিথিন ও প্লাস্টিকের অতি ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নতুন আগ্রহ ও মতৈক্য জোরদার হচ্ছে।’ পাটের তৈরি বহুমুখী পরিবেশবান্ধব নতুন পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বে পাটের গৌরব পুনরুদ্ধারে কাজ করার জন্য তিনি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান ।
উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলমকে জানানো হয়, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা ২৮২ ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। যার অধিকাংশই বিদেশে রফতানি হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হবে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে। আলোচনায় উঠে আসে, এ ধরনের উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে ঐতিহ্যবাহী এই সোনালী আঁশ দেশের জাতীয় সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে, মুজিব জন্মশতবর্ষে এই হোক অঙ্গীকার।