আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ১টা ৫মিনিটে শিনজো অ্যাবেকে ফোন করেন। দুই নেতার কথোপকথন প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাপান ও বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৫ আগস্ট) এই ফোনালাপ হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রীর মূল আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়গুলো উঠে আসে। অ্যাবে জানান, করোনাভাইরাসের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৩৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (৩২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া সংক্রান্ত একটি বিল জাপানের সংসদে অনুমোদন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং এর চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে সব উদ্যোগ নিয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। জাপান সরকার বাংলাদেশকে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধক ইকুইপমেন্টস- পিপিই, মাস্ক, গাউন, গগলস ইত্যাদি দেওয়ার জন্য শিনজো অ্যাবেকে শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানান। জাপান সরকারের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে দুই নেতা আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর কারনে বাতিলকৃত ‘২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক‘ ২০২১ সালে জাপানে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও জাপানি বিনিয়োগের জন্য শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। তিনি চলমান রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে শিনজো অ্যাবে।