১০ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে।
বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে সাহেদকে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয় র্যাব। পরে সাহেদকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আমলি আদালত-৩ এর বিচারক রাজীব রায়।
চতুর্থ দিন গত ৩০ জুলাই সাহেদকে খুলনা র্যাব কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তারের স্থান সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী শাখরা-কোমরপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন বিকেলে লাবণ্যবতী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের ওপর মিনিট দশেক রাখা হয় সাহেদকে। পরে তাকে আবারও খুলনায় র্যাব-৬ সদর দপ্তরে নিয়ে যায় র্যাব।
চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ৬ জুলাই রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। এতে করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মেলে। অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় অভিযানে।
৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ১৫ জুলাই সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশ থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
১৬ জুলাই সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার আদালত। ছয় দিন ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে থাকার পর তাকে চার দিনের জন্য র্যাবের হেফাজতে দেয়া হয়। রিমান্ডে থাকা সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।
ওই মামলায় সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৬ জুলাই আদালতের কাছে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করেন আদালত। পর দিন ২৭ জুলাই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব ৬-এর কার্যালয়ে আনা হয়।