প্রথম থেকেই আমাদের কিছু ছকবাঁধা ধারণা ছিল। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, করোনা মানেই জ্বর হবে রোগীর। কিন্তু অচিরেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। লন্ডনের কিং কলেজের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়ে স্থির সিদ্ধান্তে এসেছেন- ছয় ধরনের করোনা সংক্রমণ সক্রিয় রয়েছে বিশ্বজুড়ে। সাধারণ সর্দিকাশি, কোনও জ্বরজারির চিহ্নই নেই-বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রোগীর শরীরে জ্বরই নেই। শুধু সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার মতো গলা বসে রয়েছে। নাক আটকে রয়েছে। বুকে চাপচাপ ব্যথা অনুভব করছেন। গন্ধ শুঁকতে অসুবিধে হচ্ছে।জ্বরের উপস্থিতি- বেশ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে জ্বরজারির উপস্থিতি এবং হজমশক্তি চলে যাওয়াই মূল উপসর্গ হয়ে উঠছে।
আজ ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় দেশে রাজধানী ঢাকার মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেশের সর্বশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরটি।
বুলেটিনে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮৩ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৮৯ পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৭০৮ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ২৫ হাজার ১২৪ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৯৭৭ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩০৬ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ২ হাজার ৭৪ জন মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ৩২ নারী ৭ জন।
এদিকে ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত, বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৪৬৩ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৪ জন। তবে সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৮০৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৬ জন আর আশংকা জনক অবস্থায় আছেন ৬৫ হাজার ৪৯৭ জন।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।