মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া ‘আপত্তিকর’ ভিডিও টিকটক কর্তৃপক্ষ সরিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে।
প্রতিটা বিষয়ের ভালো ও খারাপ দিক আছে। সমস্যা হচ্ছে ভালো দিকগুলো আমরা নিচ্ছি না। মাথাটা কেটে না ফেলে মাথা ব্যথা কীভাবে ঠিক করা যায় সে প্রক্রিয়ায় যেতে চাই।
টিকটকে মজা করে হাসিখুশি থাকলে তো কোনো সমস্যা নেই। বুধবার রাতে টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা হওয়ার পর তারা আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া আপত্তিকর ভিডিওগুলো তারা রিভিউ করে সরিয়ে ফেলবে।
বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
যেভাবে ভিডিওগুলো দেওয়া হচ্ছে দেখে লজ্জা লাগে, উঠতি বয়সীরা আপত্তিকর ভিডিও দিচ্ছে। মারধরের ঘটনায় ইয়াছিন আরাফাত অপু নামে একজন গ্রেফতার হওয়ার পর অনেকেই টিকটক বন্ধ করার জন্য বলেছে।
টিকটকের বাংলাদেশ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা হেলেনা নামে টিকটকের এক পরিচালকের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি।
ফোনে তাকে বুঝানো হয়েছে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এক রকম নয়। যে ভিডিও অন্যান্য দেশে স্বাভাবিক আমাদের দেশে তা অস্বাভাবিক। সে কথা শুনে আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশের ভিডিওগুলো রিভিউ করে আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে ফেলবে।
কয়েকটি ভিডিওর বিষয়ে আপত্তি জানানোর পর ইতিমধ্যে টিকটক সেগুলো সরিয়ে ফেলেছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সেবার বন্ধ করে দেওয়ার পর খুলে দেওয়া হয়েছিল কয়েক দিন পর। আমাদের যে প্রযুক্তি রয়েছে তাতে যে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে পারি। সে সময় টিকটক কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল, তারা আপত্তিকর ভিডিও মনিটর করবে। তবে সে কথা তারা রাখেনি।