কক্সবাজারে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদের মৃত্যুর ঘটনা অনাকাঙ্খিত। এই ঘটনায় পুলিশও অত্যন্ত মর্মাহত। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এটাই শেষ ঘটনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। কক্সবাজার এলাকার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও এলাকার মানুষের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল পরিচালনা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেনা প্রধান ও পুলিশ মহাপরিদর্শক উভয়ই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দায়ভার বাহিনী নেবে না। উক্ত ঘটনায় দুই বাহিনীর দীর্ঘদিনের পারস্পারিক সুসম্পর্কে চিড় ধরবে না। সুবিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে ও সুষ্ঠু তদন্ত কার্যে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবে না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালিত হবে এই মর্মে স্ব স্ব বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক উভয়ই সম্মত হয়ে স্ব স্ব বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান আস্থা আরও গভীর ও সুদৃঢ় করবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইএসপিআর বিবৃতিতে উল্লেখ করে, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান একজন পুলিশ সদস্যের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা ৪ আগস্ট থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। ৫ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজিপি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্ব স্ব বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তারা প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।