বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোটের বাক্স চুরি করে যারা ক্ষমতায় বসেছেন কত নির্লজ্জ তাঁরা দেখেন, এই করোনার মহামারির সময়েও তাঁরা আইন করেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জেলায় যেসব হসপিটাল আছে, সেখানের চোরগুলোকে ধরতে হলে সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে সদ্যঃপ্রয়াত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানের স্মরণে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনাসভায় সোহেল এ কথা বলেন। আলোচনাসভার পর বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে যে লড়াই অসমাপ্ত রেখে গেছেন বাবু, সেই লড়াইকে আমরা যারা বাবুর (শফিউল বারী বাবু) সহযোদ্ধারা আছি- আমরা এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে এই সরকারের পতন ঘটাব এবং শফিউল বারী বাবু ও আবদুল আউয়াল খানের অসমাপ্ত লড়াইকে সমাপ্ত করেই আমরা তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাব।
বাবুর দলের প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি তুলে ধরে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, যখন ভালো সময় থাকে তখন ত্যাগীরাও থাকেন, তখন সুবিধাবাদীরাও থাকেন।
খারাপ সময় থাকে তখন কিন্তু সবাই থাকে না। তখন অনেকেরই গায়ে অসুখ হয়, অনেকেই অসুস্থতায় পড়ে যান, অনেকেরই ছেলেসন্তানের নানা রকম সমস্যা হয়, অনেকে আবার বিদেশ চলে যান।
দলের দুঃসময়ে, নেত্রীর দুঃসময়ে, আমাদের নেতার দুঃসময়ে ওনারা যখন জেলে থাকেন, অনেকে সেটিংয়ে যান। সেটিং গেলে ভালো থাকা যায়, বিপদ থাকে না। কিন্তু শফিউল বারী বাবুরা সেটিংয়ে যেতে পারেন না। কারণ তাঁরা দলের প্রতি কমিটেড।
শহীদ জিয়ার পরিবারকে পবিত্র আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছেন, যাঁরা শহীদ জিয়ার পরিবারকে বাংলাদেশের সম্পদ বলে মনে করে, যারা মনে করেন, আমরা পেলাম কি পেলাম না, সেটি বড় নয়। যদি আমাদের নেত্রী ভালো থাকেন, যদি আমাদের নেতা ভালো থাকেন, তাহলে আমরাও ভালো থাকব। তাঁদের জন্য শফিউল বারী বাবুর চলে যাওয়াটা অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।
ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মো. ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় আলোচনাসভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, আবদুল মালেক, মীর সরফত আলী, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ইশরাক হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য দেন।