প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হওয়া স্বত্ত্বেও আমার মায়ের কোনো অহমিকা ছিল না।
১৯৫৮ সালে মার্শাল ল’ জারি হওয়ার পর আব্বা আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন। এই দু’বছর আমার মা সংসারের স্বাদ পেয়েছিলেন। কারণ তখন রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর এবং বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সহযোদ্ধা।
বঙ্গমাতা অসাধারণ বুদ্ধি, সাহস, মনোবল, সর্বসংহা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেগম মতিয়া চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো বঙ্গমাতা শহীদ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য অপর্ণ, কোরান খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।