বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে যখন সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে পারেননি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, সে দেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
মুজিব শতবর্ষে আমাদের প্রত্যয়-বঙ্গবন্ধুর যেসব পলাতক খুনি পৃথিবীর যেখানে পালিয়ে আছে, সেখান থেকে তাদের ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর করা। একই সঙ্গে জিয়াউর রহমানসহ যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন।রবিবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর ক্লিনিক ভবনের সামনে শোক দিবস উপলক্ষে ‘আলোকচিত্র, ডিজিটাল ডিসপ্লে ও সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যে বছর হত্যা করা হয়, সে বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। যেটি আমরা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। চার দশক পর সেটা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যে বছর হত্যা করা হয়, সে বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরীসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।