পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছেন। সংবিধানের মূল চার নীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন।
সোমবার ঝালকাঠি জেলা যুবলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে অপশক্তি হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি, তারা জানত বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা সপরিবারে তাঁকে হত্যা করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণে বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা।
বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হয়েছে জানিয়ে আমু বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিশ্ববাসী আমাদের কাছে জানতে চায়, শেখ হাসিনার কাছে কি জাদুর কাঠি রয়েছে। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। গ্রাম থেকে শহর- সব জায়গায় উন্নয়ন হচ্ছে। আমাদের আর পেছনে ফেলতে পারবে না কেউ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খসরু নোমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশীদ হাওলাদার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল শরীফ, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন মিঠু, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছবির হোসেন ও নলছিটি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খান মনিরুজ্জামান বিল্পব।
১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।