শৈশবকালেই মানুষের মনন ও ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। তাই শিশুদের ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতা তৈরিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মননশীল করে গড়ে তুলতে হলে প্রাথমিক শিক্ষায় আরো গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
আগামীদিনের নাগরিক হিসেবে শিশুদেরকে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের কথা, আচরণ ও আদর্শ অনুসরণ করে। তাই শিক্ষকদের নিজেদেরকে তাদের কাছে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে শিশুদের পাঠদান করতে হবে যাতে তারা পড়ালেখার সময় কোন ধরনের চাপ অনুভব না করে। শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে হবে যেন ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে। বিদ্যালয়গুলোকে শিশুদের কাছে আরও আনন্দময় করে তুলতে প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশ ও শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময়, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে শিশুদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে বর্তমানে মেহেরপুর জেলা দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহারে এ জেলা অত্যন্ত সম্মানজনক পর্যায়ে রয়েছে। তাই, মেহেরপুরকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে এ অঞ্চলের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষার মানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করতে শিক্ষক-অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক ড: মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ তাজুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
করোনাকালীন এ অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত শিক্ষা কার্যক্রমে যাতে শিশুরা ঘরে বসে সময় মত অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য ক্লাসের সময়সূচী মোবাইল ফোন, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ক্লাস এর চাহিদা পরিপূর্ণভাবে পূরণের লক্ষ্যে স্থানীয় শিক্ষকদের মাধ্যমে ধারনকৃত শ্রেণি পাঠদান শিশুদের কাছে পৌঁছানোর জন্য Digital Primary Education, Meherpur নামে ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে এবং Meherpur Online Primary School এর মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু রয়েছে। যেসব শিশু ইন্টারনেটের আওতায় নাই তাদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে পাঠদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে।