সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা এদেশের রাজনীতিতে রক্তঘাত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা আরেক ষড়যন্ত্রের অংশ।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশের মাটি বীরের বীরত্ব গাঁথায় উর্বর, আবার বিশ্বাসঘাতকতার নিকৃষ্ট নজিরও এখানে আছে। এখানে দেশ প্রেমের যেমন বিরল দৃষ্টান্ত আছে, ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রের গন্ধও আছে। এদেশে ঘটনার আগে কিছু বোঝা যায় না।
সোমবার ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবনস্থ তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।
হঠাৎ করে চোখের পলকে ১৫ই আগস্ট ঘটানো হয়েছিল। ২১ শে আগস্টের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল কারা? কারা তখন ক্ষমতায় ছিলো। বিএনপিই ছিলো মাস্টার মাইন্ড। যারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে ঘুরানোর অপচেষ্টা করেছিল। তাদের মুখে হত্যার বিচার চাওয়া কি শোভা পায়?
কলঙ্কজনক হত্যাকা- ১৫ই আগস্টের হত্যাকা-। এ হত্যাকা-ের বিচার বন্ধে কারা ইনডেমনিটি আইন করেছিল? কারা কলঙ্ককিত করেছিল সংবিধানে ৫ম সংশোধনী। তাই আগস্ট এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। কারণ ষড়যন্ত্রকারি এবং বিশ্বাস ঘাতকদের প্রেত্মারা এখনও আছে। আছে তাদের ষড়যন্ত্রের নকশা। যারা এ দেশের রাজনীতিতে রক্ত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা আরেক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে জনগণ মনে করে।
করোনাভাইরাসের এ সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকা এবং বাসা-বাড়িতে অবস্থান করায় শিশু কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বেড়েছে। সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিক্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে। কোথাও রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। রাজনৈতিক কারণে বিএনপির কোন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? যারা চট্রগ্রামের চিহ্নিত অপহরণকারী বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি- তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।
ইতোমধ্যে অনলাইনে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার যথা সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আমি অভিভাবকদের ধৈর্য্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানাচ্ছি।
সড়ক নির্মাণে গুণগতমান বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার আগে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীকে নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। অহেতুক বিলম্ব নির্মাণকাজের খরচ বাড়িয়ে তোলে। যে সকল ঠিকাদার সময়মতো কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে প্রকৌশলীদের তদারকি আরো নিবিড় হতে হবে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এলাকায় বিশেষ ধরণের সড়ক নির্মাণে সফলতার জন্য সড়ক প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে হাওর এলাকার অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যেতে শুরু করেছে।
ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যর মাঝে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসানসহ বিভিন্ন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন।