মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে গিয়ে যে কোন বাঁধার কাছে নতি স্বীকার না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। একইসাথে নির্মাণ প্রকল্পে গুনগতমান নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠ পরযায়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী অঅব্দুর রশিদ খান,অতিরিক্ত প্রকৌশলী এবং জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীসহ মাঠ পরযায়ের প্রকৌশলীগণ সভায় অংশ নেন।
ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজের জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করতে সংশ্লিদের নির্দেশ দেন। গ্রামীন রাস্তাঘাট নির্মাণের সময় যাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না হয় সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
প্রকল্পের কাজ অবশ্যই টেকসই, মানসম্পন্ন ও উৎপাদনশীল হতে হবে তিনি বলেন,কাজে গতি আনতে প্রত্যেক কাজের জন্য বছরের শুরুতেই একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরির উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মাঠ পর্যায়ে কাজ সার্বক্ষণিক পরযবেক্ষণ একদিকে যেমন কাজে গতি এনেছে, কাজের গুণগতমান নিশ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে কঠোর অবস্থানের কারণে দুর্নীতি ও অনিয়ম বহুলাংশে কমে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, কাজের গুণগত মান সবসময় নিশ্চিত করতে হবে। মানের প্রশ্নে কোন বাঁধার কাছে নতি স্বীকার করা যাবেনা। অনিয়ম-দূর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। নিম্নমানের কাজ, অনিয়ম-দূর্নীতি কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)তে অত্যন্ত বিচক্ষণ মেধাবী যোগ্য প্রকৌশলীরা আছেন যারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি বলেন, এলজিইডি মাঠ পর্যায় যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৬৪ টি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। যেখানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।
তঠিকাদার কাজের জন্য যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করবেন সেগুলো টেস্ট করার জন্য এখন আর ঢাকায় আসতে হয় না। সুতরাং ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান এখন খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় সম্পূর্ণ রাস্তায় বক্স একবারে কেটে ফেলে রাখা হয়, এটি করা যাবে না এবং বক্স কেটে বেড ফিলিং করে অবশ্যই রোলার করতে হবে।