সোমবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘অ্যাডেনডাম টু দ্য প্রটোকল টু দ্য ট্রানজিট এ অ্যাগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপাল’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যে ট্রানজিট চুক্তি হয় ১৯৭৬ সালে, সেখানে দুই দেশের মধ্যে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ৬টি রুটকে অন্তর্ভুক্ত করা আছে।
তবে ওই রুটগুলোর মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে দূরত্ব বেশি হওয়ায় নেপালের জন্য ব্যয়ও বেশি হচ্ছে। ফলে দেশটি দীর্ঘদিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর দিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট সুবিধা চেয়ে আসছিল। এখন ভারতের সম্মতি পাওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর রেলস্টেশনকে প্রচলিত ৬টি রুটের অতিরিক্ত নতুন আরেকটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ট্রানজিট চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব যাচ্ছে মন্ত্রিসভায়।
বর্তমানে নেপালের আমদানি-রপ্তানির একটি বড় অংশ চলছে ভারতের হলদিয়া বন্দর দিয়ে। তবে এতে দূরত্ব ও আর্থিক খরচ বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে রেলপথে পণ্য পরিবহনের জন্য ১৯৯৯ সালে প্রস্তাব দেয় নেপাল। তবে এ ধরনের ট্রানজিট সুবিধা চালুর ক্ষেত্রে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে রোহানপুর-সিঙ্গাবাদ ব্রডগেজ রেলপথ লিংক নেপালের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে সম্মতি দেয় ভারত। আর এতেই সুযোগ সৃষ্টি হয় ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে রেলপথে ট্রানজিট যোগাযোগ কার্যকর করার।
রেল ট্রানজিটটি বাস্তবায়িত হলে বঙ্গোপসাগর দিয়ে পণ্য আমদানি করে মোংলা বন্দরে খালাসের পর সেটি খুলনা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর স্থলবন্দরে আনতে চায় নেপাল। এতে নেপালের পণ্য পরিবহনে ব্যয় কমার পাশাপাশি মোংলা বন্দর ব্যবহারের চার্জ ও মাশুল ছাড়াও রোহানপুর পর্যন্ত দেশীয় যান ব্যবহার করে নেপালি পণ্য পরিবহন বাবদ অর্থ পাবে বাংলাদেশ।