চাঁদপুর জেলায় ৬ হাজারোধিক দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।যাদেরকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে(জুলাই-১৯ হতে জুন-২০ পর্যন্ত) মেয়াদউর্ত্তীর্ণ ভাতাভোগীর স্থলে নতুন উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,জেলার চাঁদপুর সদরে ১ হাজার ৯২ জন, মতলব দক্ষিণে ৪৮০ জন,মতলব উত্তরে ১ হাজার ৯২ জন,কচুয়ায় ৯৩৬ জন,শাহারাস্থিতে ৭৮০ জন,ফরিদগঞ্জে ১ হাজার ১৭০ জন,হাজীগঞ্জে ৯৩৬ জন এবং হাইমচরে ৪৮০ জন সহ মোট ৬ হাজার ৯৬৬ জনকে নতুন করে ভাতাভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
যাদের প্রত্যেককে ৮০০ টাকা হারে ৬ মাস অন্তর অন্তর ৪ হাজার ৮০০ টাকা করে ৩ বছর পর্যন্ত ২৮ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হবে।তারা মাত্র ১০ টাকায় ১টি একাউন্ট খুলে সোনালী ব্যাংক অথবা এশিয়া ব্যাংকের আমাদের নির্ধারিত শাখা হতে ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এই ১০ টাকার বাইরে ভাতা পেতে আরো কোন টাকা কোথাও খরছ করতে হবেনা।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে আরো জানা যায়,উপজেলার ইউনিয়নের স্থায়ী দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী বা দুঃস্থ নারী মা বা প্রতিবন্ধী মা শুধু মাত্র ১ম ও ২য় গর্ভকালীন সন্তানের মাতারা এক্ষেত্রে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।এছাড়াও যে মা অন্য সরকারী সুবিধা পাননি যার বয়স কমপক্ষে ২০ বছর আর তিনি সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সনদ অনুযায়ী ৭ মাসের গর্ভবতী বা দুগ্ধদায়ী মা এবং তার পরিবারের মাসিক আয় ৫ হাজার টাকা বা এর কম শুধুমাত্র তারাই জাতীয় পরিচয় পত্র ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে তার নিকট আবেদন সমাপ্ত করেছিলেন।পরে এই আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই বাছাই করে তালিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে উপজেলা কার্যালয়ের নিকট প্রদান করার পরই তাদের উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।তবে ১ম সন্তান মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় বয়স ৭ মাসের কম হলে অথবা ওই মায়ের ৩য় সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।তথ্যে আরো দেখা যায়,যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের শিশু সন্তান জন্মানোর পর মারা গেলেও তার মা অথবা মা মারা গেলে ওই শিশুর বৈধ অভিভাবক নির্ধারিত সময় সমাপ্তি পর্যন্ত এই ভাতা পাওয়ার অধিকার রাখেন।
৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার এ ব্যপারে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার সাজিয়া আফরিন জানান,ইউনিয়নের কোন মেম্বর বা চেয়ারম্যান যদি ভাতাভোগীদের ব্যাংকে ভাতা উত্তোলনের সময় আনা নেওয়ার গাড়ীভাড়ার কথা বলে উপকারভোগীদের উত্তোলনকৃত টাকা আত্মসাৎ করেন কিংবা ভাতা পাইয়ে দিতে উর্দ্ধতনদের কোনরূপ টাকা দিতে হয় জানিয়ে উপকারভোগীদের উত্তোলনকৃত টাকা আত্মসাৎ করেন বা কম দেন।
এরূপ কোন অভিযোগের প্রমাণ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।কেননা সরকারি ১০ টাকা ব্যাংক একাউন্ট করার খরছ বাদে এই নির্বাচিত মায়েদের আর কোন খরছ দিতে হবে না।আর উপকারভোগী মায়েদের ব্যাংকে গাড়ী করে আনতে নিতে আমাদের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা নেই।