১৫ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুদেরও হত্যা করে। যা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা দেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিল।
তবে তারা সফল হতে পারেনি। শত চেষ্টা ও ইতিহাস বিকৃতি করেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে।
পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এ দেশে আর ঘুরে দাড়াতে না পারে।
শিশুবিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দেশের আটটি বিভাগের শিশুরা বঙ্গবন্ধু বিষয়ে ছড়া, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পাঠের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলনকক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।