পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, স্বার্থন্বেষী মহল ঘটনাটিকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো: রাশেদের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে ফেলা হচ্ছে। সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দিয়ে বাহিনীটির অবস্থান তুলে ধরেছে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন।
সিনহা মো: রাশেদ হত্যার ঘটনা কোন ব্যক্তির হতে পারে, এর দায় কোন প্রতিষ্ঠানের নয়।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ক্রসফায়ার, গুমসহ নানা ধরণের অভিযোগ নিয়ে অনেক মানুষ এখন পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গত ৩১শে জুলাই পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো: রাশেদ নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তার হত্যার ঘটনার পর ক্রসফায়ার এবং গুমের ইস্যু নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
এছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও খবর প্রকাশ হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির দুই সপ্তাহ পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সমিতি যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম এবং কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটিকে রাষ্ট্রের দুটি পেশাদার বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা বলেও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের বার্তা বিভাগের প্রধান মোস্তফা ফিরোজ মনে করেন, অনেক মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এর পিছনে সংগঠিত কোন বিষয় নেই বলে তিনি মনে করেন।
এ ধরণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে কোন কোন মহল ক্ষুব্ধ হয়। আর পুলিশের ব্যাপারেতো অনেকের দীঘদিন থেকে ক্ষোভ আছে। বিশেষ করে ক্রসফায়ার, গুম-হত্যাসহ নানান রকম ঘটনায় এবং চাঁদাবাজি-এসব কারণে একটা ক্ষোভ আছে। সেই ক্ষোভটাকে হয়তো সিনহার ঘটনার পর অনেকে পুলিশের ব্যাপারে অনেক বেশি আক্রমণাত্নক বক্তব্য দিচ্ছে ফেসবুকে বা নানান মাধ্যমে।
পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে আর ক্রসফায়ার হবে না। এই কথাটা যদি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হতো, তাহলে কনফিউশনটা কিন্তু আরও দূর হতো। শুধুমাত্র একটা সংস্থার পক্ষ থেকে যখন স্টেটমেন্ট আসলো যে পুলিশ আশ্বস্ত করেছে এটিই শেষ ঘটনা। তখন কিন্তু এক ধরণের কনফিউশন থেকে গেলো।