যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দেশ দু’টি মিলে ইরানকে মোকাবেলা ও আরও একঘরে করার চেষ্টা করেছিলেন, তখন আমিরাত তার নিকটতম প্রতিবেশীকে উস্কে দেয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের শান্তি চুক্তি। এটি কোনোভাবেই ইরানের বিরুদ্ধে দল পাকানোর বিষয় নয়।
ইরানের সঙ্গে আমাদের খুবই জটিল সম্পর্ক রয়েছে।
ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই ইরানকে মোকাবেলা করার জন্য নয় বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। একই সঙ্গে দেশটি এই চুক্তির বিষয়ে তুরস্কের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. আনোয়ার মোহাম্মদ গারগাস বলেন, এই চুক্তিটি ইরানের বিষয় নয়।
শান্তি চুক্তিকে কেন্দ্র করে আমিরাত থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিতে পারে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান। একই সঙ্গে শুক্রবার তিনি বলেন, এই চুক্তি ফিলিস্তিনি অধিকারকে ঘায়েল করেছে।
তবুও আমরা অনুভব করি এগুলো কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত।
আমিরাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের এই হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তারা নিজেরাই ইসরাইলের সঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে।
চুক্তির আওতায় ইসরাইল আপাতত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ রাখার কথা দিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য আলোচনার সুযোগ পেয়েছি। যেটা ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে সংরক্ষণ করবে।
তুরস্কে প্রতি বছর কমপক্ষে অর্ধ লাখ ইসরাইলি পর্যটক ভ্রমণে যায়। একই সঙ্গে দেশ দু’টির মধ্যে দুই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে।
চুক্তি করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইসরাইলের বিমান, প্রযুক্তি ও পর্যটন বিষয়ে ব্যাপক বিভিন্ন দক্ষতা রয়েছে।