ধিক্কার প্রদর্শন কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সারাদেশে ও সব সাংগাঠনিক ইউনিটে এই কর্মসূচী পালন করেছে ছাত্রলীগ।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এই কর্মসূচীতে আরও যেন এ ধরনের কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম না ঘটে সেই জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৫ সালের এই দিনে জামায়াত-বিএনপির মদদে জেএমবি জঙ্গীগোষ্ঠী শায়েখ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই এবং ইংরেজী ভাইদের আবিষ্কার করে ৬৩টি জেলায় ৫০০টির বেশি স্থানে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ করা হয়।
একযোগে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ সর্বসম্মতিক্রমে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ধিক্কার জানায় সেই সময়কার সরকার ও যাদের মদদপুষ্টে এই ধরনের কুচক্রী মহল কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল।
জয় বলেন, আজকের এই দিনে জঙ্গীগোষ্টী সিরিজ বোমা হামলা করা হয়েছিল। আপনারা জানেন বাংলাদেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট করার জন্য এই হামলা করা হয়েছিল। সিরিজ বোমা হামলার পেছনে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিয়েছিল খালেদা জিয়া সরকারের প্রত্যেকটি সদস্য, যার মাস্টার মাইন্ড ছিল তারেক জিয়া। তারেক জিয়া এদেশের রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছে।
সেই জঙ্গীগোষ্টীকে চিরতরে মুছে দিয়ে বর্তমানে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনা করছে। দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতা ওই দিনের অরাজকতাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।
খুনী মাজেদ শিকার করেছে খালেদা জিয়ার স্বামী মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল মাস্টার মাইন্ড। একটি কমিশন গঠন করে মেজর জিয়াকে মৃত্যুর পরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
জিয়ার মদদপুষ্ট বিএনপি সরকার সিরিজ বোমা হামলার পর শোকের মাস আগস্ট বারবার বেঁছে নেয়। তারা ১৫ আগস্ট ঘটনায়, তারা ২১ আগস্ট ঘটায়। তারা বারবার ১৫ আগস্ট ঘটাতে চায়। আর যেন কোনো হামলার না হয় সে বিষয়ে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।