সোমবার দুপুরে অনলাইনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আবুধাবী হতে ফেরত আসা প্রবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা পূর্বক পুনরায় বিদেশ প্রেরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
মন্ত্রণালয়েল সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শারিহ্য়ার আলম এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতস্থ বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর প্রমুখ।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, প্রবাসী কর্মীরা দেশের সম্পদ। প্রবাসী কর্মীরা যাতে সহনশীল পর্যায়ের বিমান ভাড়ায় নির্বিঘ্নে গন্তব্য দেশে ফিরে যেতে পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
দেশের চাহিদা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ বিদেশে গমনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও প্রবাসী কর্মীদের বিদেশ যাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত থাকবে।
যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে-বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে প্রবাসী কর্মীর আবুধাবী হতে ফেরত আসার বিষয়ে বসোমরকি বমিান চলাচল কর্তৃপক্ষ আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানপূর্বক বসোমরকি বমিান পরবিহন ও র্পযটন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করবে।
যে সব যাত্রীর বাংলাদেশ বিমানের টিকেট বুকিং দেওয়া আছে, পরবর্তী ফ্লাইটসমূহে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের অনুকূলে টিকেট প্রদান করবে এবং এ ক্ষেত্রে টিকেটের জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত কোন মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।
উপর্যুক্ত ফ্লাইটে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী যাত্রীদের পুনরায় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কিংবা ক্ষেত্র মতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গন্তব্য দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ক্রমান্বয়ে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কভিড-১৯ পরিস্থিতি আরো ভাল হওয়ার সাথে সাথে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
এয়ারলাইন্সের টিকেটের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে বেবিচক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।