বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতিকে উজ্জিবিত করে হয়েছিলেন ছাত্রলীগের প্রাণ পুরুষ। বাংলাদেশের যা কিছু গৌরবময় অর্জন এই সকল অর্জনের কৃতিত্বের সম্মুখ সারির দাবিদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান,৬২ শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন,১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন,১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌছানো এবং ১৯৭০ এর নির্বচনে ছাত্রলীগের ছিলো গৌরব উজ্জল ভুমিকা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ওই আন্দোলনে বিশ্বজিৎনন্দী সহ অধিকাংশই ছিলো ছাত্রলীগের নেতা কর্মী।
নিজের কথা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম সেটা নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। যড়যন্ত্রকারীরা বহুবার মারতে চেয়েছিলো আমাকে। কিন্তু প্রানে বেঁচে আছি এখনো আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারছি এটাই গর্বের।
জিয়াউর রহমানের ভয়াবহ সামরিক শাসনের সময় ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্রদের ম্যান্ডেট পেয়েছিলাম। তখনো বেশ কয়েকবার আমাকে মেরে অজ্ঞান অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে রেল লাইনের ফেলে আসা হয়েছিলো। আজ আমার আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই আশির দশকে। যখন আমি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম।
সোমবার পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহিদ ওমর ফারুক অডিটরিয়মে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রত্যেকটি ছাত্রলীগের কর্মীকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ,দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও নৈতিকতার প্রশ্ন এবং মূল্য বোধের প্রশ্নে আপোষহীন থাকার আহবান জানান। এ সময় মন্ত্রী সকলকে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা বলেন।
প্রতিটি কর্মীকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে রক্ষা করতে,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে রক্ষা করতে, শেখ হাসিনার অগযাত্রকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে একমাত্র ছাত্রলীগ পারে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে।
জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র এবং টাকা তুলে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা ছাত্রদের হাতে বই এবং কলম তুলে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ গুলো শুনবেন তিনি কিভাবে ছাত্রলীগকে কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ভালো লেখাপড়া করে আগামী দিনের নেতৃত্বে হিসাবে তোমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আহসান মাতুব্বর সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম. এ. হাকিম হাওলাদার, সহ-সভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার, আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, বাস মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন খান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক শফিউল হক মিঠু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, সাবেক কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল আহসান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান শামিম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক প্রমুখ।