দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাঁকালো অনুষ্ঠানে ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করেন তিনি।
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব কামাল নাসের প্রধানমন্ত্রীর হাতে মুজিববর্ষের লোগো তুলে দেন। এসময় মঞ্চে তার পাশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং বোন শেখ রেহানা।
আরও পড়ুন- জাতির জনকের জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তটিকে প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই আয়োজনে প্রতীকী বিমান অবতরণ ছাড়াও রয়েছে আলোক প্রক্ষেপণে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব তুলে ধরা, ২১বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার। ১৯৭২ সালে যেভাবে এদেশের সংগ্রামী জনতা বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নিয়েছিল, প্রতীকীভাবে সেই ক্ষণটিও ফুটিয়ে তোলা হয়, ওড়ানো হয় এক হাজার লাল-সবুজ বেলুন এবং অবমুক্ত করা হয় একশ’টি সাদা পায়রা।
সারাদেশে বসেছে ৮২টি ক্ষণ গণনার ঘড়ি
সারাদেশে ৮২টি ক্ষণ গণনার ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে বলে সরকারী ভাবে তথ্য জানানো হয়েছে। ১২ সিটি কর্পোরেশন ও ৫৩ জেলা, দুইটি উপজেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট ৮২ পয়েন্টে কাউন্ট ডাউন ঘড়ি বসানো হয়েছে। সেই সাথে কাউন্টডাউন স্পর্টে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিকের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধনের পর সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামেও মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়। নগরীর পুরাতন নগর ভবনের সামনে ‘এ’ ক্যাটাগরির একটি, সার্কিট হাউজ, আদালত ভবনের সামনে এবং শাহ আমানত সেতু এলাকায় ‘বি’ ক্যাটাগরির তিনটি ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ একসঙ্গে চালু করে চট্টগ্রামে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়।
আরও পড়ন- কাঁদলেন শেখ হাসিনা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছে, ক্ষণগণনার জন্য ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট ও টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ক্ষণগণনার জন্য দুইটি ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য নির্মাণ করা প্যান্ডেল থেকে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়।
বান্দরবান প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, বান্দরবান সদরের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের মূল ফটকে একটি কাউন্টডাউন ঘড়ি স্থাপন করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। জনগণকে দিবসটি সম্পর্কে জানাতে জনবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ক্ষণগণনার ঘড়িটি স্থাপন করা হয়েছে।