সুজন চৌধুরী, বান্দরবান:
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলাধীন ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড পূর্ব সোনাইছড়ি খালের পাশের ঝিরিতে মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয় ব্রিজ। পাহাড়ী ঢলের কারণে ব্রিজের একপাশে সংযোগস্হলে ব্রিজের মাটি সরে যায়। দীর্ঘদিন আগে ব্রিজের পাশের মাটি সরে যাওয়া এ ব্রিজের সাথে সড়কের সংযোগ না থাকার কারণে বিকল্প পথ না থাকায় তার ওপর গাছ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী।
এভাবেই চলছে ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সোনাইছড়ি খালের পাশের ঝিরি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ পথ ব্যবহারকারী আশপাশের গ্রামের শিক্ষার্থী সহ কয়েক হাজার মানুষকে।
সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে চিনারী বাজারে আসা-যাওয়া মাদরাসা-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিদিন চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন পায়ে হে পারাপার হতে হচ্ছে এ ব্রিজের উপর নির্মিত সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১/২ বছর আগে উপজেলার ২ নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের চিনারী বাজার সংলগ্ন সোনাইছড়ি খালের পূর্ব পাশের ঝিরিতে নিমির্ত ব্রিজের পাশের অংশে সম্পূর্ণ মাটি নদীতে বিলিন হয়ে যায়। ব্রিজটির মাটি সরে যাওয়ার কারণে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এর পাহাড়ী-বাংঙ্গালী গ্রামসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
এলাকাবাসীরা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও ব্রিজ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।ফলে আমরা বাধ্য হয়েই এলাকাবাসী সবাই মিলে এ ব্রিজের ওপর একটি গাছের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের উপযোগী করেছি।
এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষ কৃষিনির্ভর হওয়ায় উৎপাদিত সবজি নিয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে পার হতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই ব্রিজের ওপর স্থানীয়রা গাছের সাঁকো তৈরি করে জীবন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলেন, আমরা নারী মানুষ এমনিতেই গাছের সাঁকো অথবা বর্ষার সময় ঝিরি দিয়ে পারাপারে ভয় পাই। জীবন জীবিকার তাগিদে চাকরি করি। এজন্য প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রিজের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।
এ শিক্ষক আরও বলেন, চিনারী বাজার এলাকার পূর্ব সোনাইছড়ি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নদীর পূর্ব পাশের ঝিরি দিয়ে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে বিদ্যালয়ে পৌঁছতে হয়। এখান কার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজার নিয়ে যাওয়ার সময় পরিবহন করতে না সমস্যা দেখা যায়। ব্রিজটি মেরামত না হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।
এই বিষয়ে ২ নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চোট বাজেটে কাজ হবে না তবে এলজিইডি বরাবর আবেদন করেন।