জাতির পিতার সারা জীবনের লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে বসবাস এবং সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা সত্ত্বেও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষয়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। তা অব্যাহত থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হতো।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে থেকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক অনলাইনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে সরাসরি যুক্ত থেকে খুনিদের উৎসাহিত করেছেন জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনিদের দেশের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।
লাল-সবুজের পতাকা কে কলুষিত করেছেন এবং পাকিস্তান প্রেমীদের দেশে আসার সুযোগ করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন।
বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশের কথা বলতে গিয়ে অনিবার্যভাবে এসে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম; যিনি দেশের ও জনগণের স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন। কিশোর বয়স থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন। সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের কথা বলেছেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাঁড়া দিয়ে বাঙালিরা যেমন জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন। ঠিক তেমনিভাবে শেখ হাসিনার ডাকে সাঁড়া দিয়ে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবে।
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এছাড়া পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ রেজাউল আহসান সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।