মির্জা আজম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে প্রাইম টার্গেট করে হাওয়া ভবনের নির্দেশে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। কিন্তু আল্লাহর বিশেষ রহমতে আমাদের দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান।
ঝরে যায় ২৪টি তাজা প্রাণ। এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল। এর একমাত্র কারণ, শেখ হাসিনার সততা, দক্ষতা ও পরিশ্রম। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের সবাইকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে যারা মনে করেছিল বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ নেবে না-কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর নেতা আকতার হোসেন, মোর্শেদ কামাল, সরাফত উদ্দিন সেন্টু, গোলাম সরোয়ার কবির, আসাদুজ্জামান, শরিফুল ইসলাম শরিফ, রাসেল প্রমুখ।
ব্যক্তিকে হত্যা করা গেলেও আদর্শকে হত্যা করা যায়নি।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।