প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত করা হয় ৮ মার্চ। এরপর ১১ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত বুলেটিনে দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়।
১২ আগস্ট থেকে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচার বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
নিয়মিত ওই বুলেটিন আবার চালু করার জন্য সুপারিশ করেছে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
১৭তম অনলাইন সভা থেকে এই সুপারিশ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টিকার ট্রায়াল বাংলাদেশে হওয়া উচিত।
সপ্তাহে অন্তত একবার গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকা উচিত।
টিকা আন্তর্জাতিক বাজারে এসে গেলে তা কীভাবে প্রথমেই বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায়, তার বিস্তারিত পরিকল্পনা এখনই করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে কী পরিমাণে টিকার প্রয়োজন, তা সংগ্রহে কত খরচ হবে বা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে এখনই হিসাব করা প্রয়োজন।
যেসব প্রতিষ্ঠান বা দেশ টিকার ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে আছে, তাদের সঙ্গে এখন থেকেই যোগাযোগ করা উচিত, যাতে টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি পাওয়ামাত্র বাংলাদেশ যেন তা পেতে পারে।
টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হলে প্রথমত বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তা প্রমাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই টিকা সফল প্রমাণিত হলে সর্বাগ্রে পাওয়ার নিশ্চয়তাও থাকবে।
টিকা পাওয়ার পর তা সংরক্ষণ, বিতরণ, লোকবল, সরঞ্জামসহ সব পরিকল্পনা বা ব্যবস্থাপনা এখনই ঠিক করে রাখা উচিত। কোন পর্যায়ের উচ্চঝুঁকিপূর্ণ মানুষ অগ্রাধিকার পাবে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অগ্রাধিকারে কোন জনগোষ্ঠী থাকবে, সেটাও নির্ধারণ করে রাখা প্রয়োজন।