ব্যাংকিং কার্যক্রম আধুনিকায়ন ও সেবার মান বাড়াতে সরকারী-বেসরকারী খাতের ব্যাংকগুলোকে কমন প্ল্যাটফর্মে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বেসরকারী খাতের ব্যাংকগুলোকে নিয়ে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।
এখন থেকে অগ্রণী ব্যাংকের প্রায় এক কোটি গ্রাহক এখন খুব সহজে বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে এ ডিজিটাল লেনদেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিকাশের কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিমের সঞ্চালনায় অনলাইন অনুষ্ঠানে আরও সংযুক্ত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর আহমেদ জামাল, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, চীফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকগুলোকে কমন প্ল্যাটফর্মে আনতে পারলেই আমরা সার্থক হব। ফলে ডিজিটালি লেনদেন, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশান সহজ এবং পরিপূর্ণ হবে।
অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহকদের বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করায় বিকাশ এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অগ্রণী ব্যাংকের প্রায় এক কোটি গ্রাহক এখন খুব সহজেই বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম করতে পারবেন। এতে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহকরা নিজ এ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশে কিংবা বিকাশ থেকে নিজের এ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এমনকি জরুরী প্রয়োজনে কিংবা ব্যাংক বন্ধ থাকাকালীন সময়েও বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ লেনদেনও করা যাবে।
ফলে বাঁচবে গ্রাহকের সময় এবং অর্থ। বিশেষ করে যেসব গ্রাহকের আবাসস্থল শাখা থেকে দূরে তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ব্যবস্থা এটি। গ্রাহককে কষ্ট করে শাখা পর্যন্ত আসার প্রয়োজন পড়বে না। এ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশে নিয়ে নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্ট থেকে সহজেই অর্থ উত্তোলন করা যাবে। এছাড়াও মাসিক সঞ্চয়ের টাকাও সহজেই বিকাশ থেকে এ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারবেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, অগ্রণী ব্যাংক এবং বিকাশের যৌথ উদ্যোগ দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল।
তিনি আরও বলেন, যে কার্যক্রম শুরু হলো আগামীতে এটি যেন হোঁচট না খায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে সতর্ক থাকতে হবে।