২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলার ১৬ তম বার্ষিকী। এই হামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমান সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৪জন নেতাকর্মী শহীদ হন।
দিনটি উপলক্ষে মানবাধিকার তৃণমূল কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় চার নেতা পরিষদের উদ্যোগে ঈশ্বরদীতে রেলগেট ট্রাফিক মোড়ে মোমবাতি প্রজ্জলন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাতটার টায় মানবাধিকার তৃণমূল কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পাবনা জেলা সাক্ষী সুরক্ষা কমিটির সদস্য আ ত ম শহীদুজ্জামান নাসিম এর সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার জন্য মূল কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শমিত জামান সদ্য উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বির পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নায়েক অবসরপ্রাপ্ত এম এ কাদের
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হক এনামুল হক সহ-সভাপতি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার বঙ্গবন্ধু জাতীয় চার নেতা পরিষদ আবদুল্লাহ আল-মুতী মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু পরিষদ পাবনা জেলা শাখা
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সজিব মালিথা সহ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা ২১ আগস্টের হামলাকে ইতিহাসের নিকৃষ্ট তম হামলা হিসাবে দাবী করে। তারা বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে দলকে নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিলো তৎকালীন জামাত বিএনপি জোট সরকার। কিন্তু সেই মৃত্যুকে জয় করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত দেশে রুপান্তরিত করতে রাত দিন পরিশ্রম করে চলেছেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যারা হত্যা করতে চেয়েছিলো তারা আজ খাদের কিনারে। তারা আরো বলেন জননীতির ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই হত্যার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তার প্রথম বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই ঈশ্বরদীতে ১৯৮৬ সালে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী ৮ দলীয় জোটের মিটিং বোমা হামলার মাধ্যমে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দান ১৯৯৪ সালে আবার ঈশ্বরদীতে জনো নেত্রী কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ট্রেন বহরে গুলিবর্ষণ করা হয় দীর্ঘদিন পরে হলো আমরা সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার পেয়েছি মামলার রায় দশজনের চরমতম দন্ড হয়েছে।
আমরা চাই এই রায় দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঈশ্বরদী বাসীকে কলঙ্কমুক্ত উপরে দেশবাসীর সামনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া হোক একই সাথে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও পথসভার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী সুরক্ষা কমিটির সদস্য আ ত ম শহীদুজ্জামান নাসিম বলেন আমরা জাতির জনকের সাতই মার্চের আহ্বানের পর এই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দান করেছিলাম তার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির জনক কে নির্মমভাবে হত্যা করার পরে বাংলাদেশ উল্টো পথে যাত্রা করলে তার প্রথম প্রতিবাদ মফস্বলের মধ্যে ঈশ্বরদীতে আমার নেতৃত্বে হয়।
আমরা এই ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই সেই সাথে এর মাস্টারমাইন্ড দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
ঈশ্বরদী বাসিকে একটি সুখবর দিয়ে তিনি বলেন জননেত্রী দেশব্যাপী রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের প্রয়াস নিয়েছেন আপনারা আপনাদের কাছে সংরক্ষিত তথ্য প্রমান সহ রাজাকারের নাম ঠিকানা( যদি থেকে থাকে) তাহলে তা মানাবাধিকার তৃণমূল কেন্দ্রের মহাসচিব এর নিকট জমা দেওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।