‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার শনিবার ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআর এর পরিচালককে ই-মেইল যোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।’
এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করায় ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রকে চাকরি থেকে বরখাস্তের জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ১৪ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট, ডাটা কার্ড উন্মোচনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবনে যান সুধাংশু শেখর ভদ্র।
সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনেক কাছাকাছি অবস্থান করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১২ আগস্ট আইইডিসিআরে করোনা পরীক্ষার জন্য এসএস ভদ্রের নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় উক্ত রিপোর্ট তাকে প্রদান করা হয়। যে রিপোর্ট অনুযায়ী তার করোনা পজিটিভ ছিল।
কিন্তু উক্ত রিপোর্টের তথ্য গোপন করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং তার খুব কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছেন যাহা বেআইনি শুধু নয়, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি বহন করে। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী ডাক বিভাগের মহাপরিচালকের এই কর্মকাণ্ড একটি অপরাধ।
উক্ত আইন অনুযায়ী তিনি তার তথ্য গোপন করেছেন যাহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য বারবার স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এই আগস্ট মাসকে বেছে নিয়ে থাকেন। এমন একটি পরিস্থিতিতে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যাওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন সেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া জাতীয় স্বার্থেই প্রয়োজন।