প্রধানমন্ত্রীর ১০ উদ্যোগ প্রচার ও সম্প্রসারণসহ ৫ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি।
বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সবচেয়ে বড় প্রকল্প ডিপিডিসি’র আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রকল্প। ডিপিডিসির অধীনের এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।
সরকার দেবে ৩৬৯ কোটি ২ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮২ কোটি ৬০ লাখ আর বৈদেশিক উৎস হতে প্রকল্পটিতে ব্যয় করা হবে ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
হাইটেক কর্তৃপক্ষের অধীনে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের পুরো টাকাই দেবে সরকার।
মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২ বছর।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এই প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এক বছর।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।