গ্রিসপূর্ব ভূ-মধ্য সাগরে তুরস্কের উপকূলের কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাতের জন্ম দিতে চাইছে। ভূ-মধ্য সাগরে তুরস্ক নতুন করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান শুরুর পর দেশ দু’টির মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। গত সপ্তাহে তুরস্ক কৃষ্ণ সাগরে সাইপ্রাস সীমান্তের কাছে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পায়। এতে দেশটির বিদেশের উপর অন্তত ৮ বছরের জন্য বিদেশের উপর কোনোভাবেই নির্ভর করতে হবে না। যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুরস্ককে আরো অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে।
তাই পূর্ব ভূ-মধ্য সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। নৌ-বাহিনীর প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এ মহড়া শুরু করে তুরস্ক। তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী হুলুসি আকরের উদৃতি দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে আনাদোলু নিউজ এজেন্সি। অত্যাধুনিক ও নতুন কিছু অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছি। এতে আমাদের নৌ-সেনাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।’
ওই অঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে তুরস্ক ও গ্রিস নানা ইস্যুতে বাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এরই সূত্র ধরে দুই দেশ নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে দেশ দু’টি নিজেদের চেয়ে মিত্রদের বেশি সংপৃক্ত করায় এই অঞ্চলে সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কিন্তু গ্রিসের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে বারবার এরদোয়ান আলোচনার কথা বলে আসছেন। তুরস্কের পররাষ্ট্র দফতর থেকে মঙ্গলবার বলা হয়, গ্রিস সমস্যা সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই। গ্রিস যদি আলোচনায় আসে তবে দু’পক্ষেরই লাভ।