করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ সিনেমা হলগুলো খোলার ব্যাপারে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সিনেমা হলগুলো খোলার ব্যাপারে আমি আপনারাদের সঙ্গে ইতোপূর্বেও আলোচনা করেছি। তবে এই মাসে কভিড-১৯-এর প্রতিদিনের যে মৃত্যুর হার, মৃত্যুর সংখ্যা কিংবা আক্রান্তের সংখ্যা যেটি দেখতে পাচ্ছি, এটি আসলে খুব বেশি কমেছে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না।
কারণ গতকালও ৫৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে খোলাটা কতটুকু যৌক্তিক হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তথ্যমন্ত্রী।
আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে তারপর আমরা বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব কখন খোলা যায়। আমার মনে হয়, আমরা অন্তত আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করি।
এরপর আপনাদের সঙ্গে বসে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এর আগে খোলা কতটুকু সমীচীন হবে, এ ব্যাপারে আমি পরিপূর্ণভাবে কনভিন্স নই।
শুরুতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ কুমার দাস সিনেমা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, সিনেমা হল যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলোকে চালু করা এবং নতুন সিনেমা হল চালু করার লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি সফট লোন দেওয়ার ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে নির্দেশনা দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, আমি চাই প্রতি উপজেলায় অন্তত একটি করে সিনেমা হল হোক। গত একনেক মিটিংয়ে তিনি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিনেমা হলগুলোকে আধুনিকায়নের জন্য কিছু করা যায়।
বৈঠকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু উপস্থিত ছিলেন।