জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবির নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব কোনোক্রমেই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নয়।
দীর্ঘদিন ধরে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত এবং অতি পরিচিত ‘ইউনিয়ন’, ‘চেয়ারম্যান’, ‘মেয়র’ শব্দগুলো পরিবর্তন করার কোনো দাবি জনগণ থেকে উত্থাপিত হয়নি, তবু নির্বাচন কমিশন এগুলো পরিবর্তন করার প্রস্তাব উত্থাপন করছে। বাংলা ভাষা থেকে বিদেশি শব্দ অপসারণ করা যেমন নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়।
তেমন ভাষার প্রশ্নে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানও নির্বাচন কমিশন নয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ একটি ঐতিহাসিক দলিল। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এ নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব এবং প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা বিলোপ করে আইনের খসড়া তৈরি করায় প্রমাণ হয়েছে ইলেকশন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্বের বাইরে তুঘলকি কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত।
প্রার্থিতা বাতিলের সরাসরি ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকার পরও সে ক্ষমতা সরিয়ে ফেলার প্রস্তাবে প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে নিজেকে অযোগ্য করে তুলছে।
নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কোনো প্রচেষ্টা কমিশনের নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে লণ্ডভণ্ড করে জাতীয় জীবনে যে ক্ষতি ও ক্ষত করেছে নির্বাচন কমিশন তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তুঘলকি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকাই হবে জাতির জন্য মঙ্গলজনক বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।