মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এখন যে সংগ্রাম করছি, যে লড়ছি করছি- সেটা আমাদের বাঁচা মরার লড়াই।
এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লড়াই। এই সংগ্রাম খুব কঠিন। ডিক্টেরশিপ থেকে ডেমোক্রেসি থেকে ফিরে আসা- এটা খুব কঠিন লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতে হবে। সেজন্য আমাদের এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ইস্পাত কঠিন ঐক্য।
একদিকে আমাদের বিএনপির ঐক্য, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলোর ঐক্য এবং অন্যদিকে একটা জাতীয় ঐক্য।
শুক্রবার জাতীয়তাবাদী দলের চিকিৎসক সংগঠন ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ফখরুল এ কথা বলেন।
এতে লন্ডন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৯৭৯ সালের এই দিনে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ড্যাব প্রতিষ্ঠা করেন।
আলোচনা সভায় ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন জেলার চিকিৎসকরা যুক্ত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐক্য তৈরি করেই আমাদেরকে অবশ্যই এই ভয়াবহ যে দানব আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে, এই যে ভয়াবহ একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা আমাদের ওপরে চেপে বসেছে একে সরাতে হবে।
আমাদের অনেক মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, ৩৫ লক্ষ মানুষ আসামী হয়েছেন, এক লক্ষের ওপরে মামলা হয়েছে। আমাদের হাজারের উপরে মানুষ খুন হয়ে গেছে।
আমাদের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ৫‘শ উপরে গুম হয়ে গেছেন। অসংখ্য মামলায় জর্জরিত আমাদের সমস্ত নেতা-কর্মীরা। এই নিপীড়ন থেকে এমনকি আমাদের চিকিত্সকরাও রেহাই পাননি।
কভিডের ফলে দেশে যে অর্থনৈতিক দূরাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, মানুষ যে অসহায় অবস্থা পড়ছে- এর থেকেও আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
করোনা প্রতিরোধের জন্য আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছি, বিএনপি অঙ্গসংগঠন,সহযোগী সংগঠনগুলো -ড্যাব একইভাবে আজকে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক তাকে মুক্ত করবার জন্যে, আমাদের নেতা যিনি সম্ভাবনাময় আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান সাহেবকে ফিরিয়ে আনবার জন্যে আমরা যে গণতান্ত্রিক যে আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনকে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল ম্ঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড্যবের অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদি হাসান বক্তব্য রাখেন।